
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ক্লিনিকের প্রধান ফটকের তালা কৌশলে খুলা হয়েছে এবং অফিস কক্ষের দরজার তালা ভাঙা অবস্থায় দেখা যায়। ক্লিনিক চত্বরে থাকা সৌরবিদ্যুৎ চালিত ব্যাটারি স্ট্যান্ডে ৪টি ব্যাটারি রয়েছে, বাকি ৮টি ব্যাটারির স্ট্যান্ড খালি অবস্থায় রয়েছে। অফিস কক্ষ থেকে একটি ডেস্কটপ কম্পিউটারের সিপিইউ ও ইউপিএসের খোঁজ মিলছে না, পড়ে আছে শুধু একটি মনিটর।
এ বিষয়ে কমিউনিটি ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্য আলী হায়দার বলেন, এই হাসপাতাল সংস্কার করে নতুন ভবন করার পর থেকে এখানে কিছু লোকজন বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়া খেলতে আসে ও মদ্যপান করে। এলাকার কিছু অসাধু লোকজনও এতে জড়িত রয়েছে। আমরা এসব বন্ধে বারবার পদক্ষেপ নিলেও পুনরায় আবার খেলতে আসে তারা। চুরির ধরন দেখে মনে হচ্ছে এটি পূর্বপরিকল্পিত। বারবার এমন ঘটনা ঘটলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হবে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিক ও সাবেক শিক্ষক মাহমুদুল করিম বলেন, এই কাজে স্থানীয় কিছু কুচক্রী মহল জড়িত বলে মনে হচ্ছে। “এটা শুধু চুরি নয়, সরকারের গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রমকে দুর্বল করার একটি প্রচেষ্টা। দ্রুত তদন্ত করে চোরদের গ্রেপ্তার করার দাবি তিনি।
ক্লিনিকের চিকিৎসক উম্মে সুরাইয়া বলেন, প্রতিদিনের মত আমি সকালে ক্লিনিকে এসে দেখি ক্লিনিকের প্রধান দরজা খোলা ও তালাটি ভাঙা অবস্থায় নিচে পড়ে আছে। ভিতরে ঢুকে দেখি আমার অফিসের কম্পিউটারের ইউপিএস নেই, সৌরবিদ্যুতের লাইন বন্ধ। “আমরা চুরি হয়ে যাওয়া মালামালের তালিকা তৈরি করছি। উখিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাঁদের দাবি, ক্লিনিকের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে এবং নিয়মিত রাত্রিকালীন পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে।
উল্লেখ্য, উত্তর পুকুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকটি স্থানীয় মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার একমাত্র ভরসা। এমন চুরির ঘটনায় ভবিষ্যতে চিকিৎসা সেবায় বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
পাঠকের মতামত